একটা সময় ছবি তুলতে ও ভিডিও করতে ব্যবহার করা হত ফিল্ম ক্যামেরা। ক্যামেরা আবিষ্কারের পর এর রাজত্ব চলেছে দীর্ঘদিন। তবে প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় সে জায়গা দখল করে নেয় ডিজিটাল ক্যামেরা। মূলত, আকারে ছোট হওয়ায় ও ছোট মাপের মেমরি কার্ড থাকায় তা সহযেই বহনযোগ্য ছিল। যেকোনো ব্যক্তিগত ও পারিবারিক অনুষ্ঠান, পিকনিক, ভ্রমণে ডিজিটাল ক্যামেরার ব্যবহার ছিল সর্বত্র। কিন্তু এক সময়ের সাড়া জাগানো এ ক্যামেরার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু কেন?
সম্প্রতি ডিজিটাল কম্প্যাক্ট ক্যামেরা উৎপাদন বন্ধ করে দেয়ার কথা জানিয়েছে জাপানি ক্যামেরা উৎপাদনকারী সংস্থা নাইকন ও প্যানাসনিক। বলা যায় এর অন্যতম প্রতিদন্দি মোবাইল বা সেলফোন। বর্তমান সময়ে এই সেলফোনই অনেক কিছুর স্থান দখল করে নিয়েছে। এতে যুক্ত হয়েছে উচ্চ রেজল্যুশনের ক্যামেরাও। ফলে খুব সহযেই টাচ ক্লিক করেই যেকোন অবস্থাতেই স্থির বা ভিডিও চিত্র ধারণ করা যাচ্ছে। আর এ কারণেই ধীরে ধীরে ডিজিটাল ক্যামেরার চাহিদা কমে যাচ্ছে।
প্যানাসনিক জানায়, তারা ৫০ হাজার ইয়েন বা ৩৭০ ডলারের কম মূল্যের নতুন কোনো ক্যামেরা বাজারে আনবে না। বাজারে চাহিদার দিকে লক্ষ রেখে নাইকন সম্প্রতি মিররলেস সিঙ্গেল লেন্সের ক্যামেরার ওপর জোর দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি শক্তিশালী লেন্সের দুটো ক্যামেরাও এরই মধ্যে বাজারে এনেছে। অবশ্য এর আগে এসএলআর ক্যামেরা উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে তারা। প্রতিষ্ঠানটির একজন মুখপাত্র বলেন, পরবর্তী সময়ে স্মার্টফোনে সংযুক্ত হতে পারে এমন কোনো প্রযুক্তিসম্পন্ন মডেল আর তারা বের করবে না।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিশ্বজুড়ে কম্প্যাক্ট ক্যামেরার বাজার ২০০৮ সালের তুলনায় ৯৭ শতাংশ কমেছে। এর আগে ফুজি ফিল্ম তাদের ফাইনফিক্স কম্প্যাক্ট ক্যামেরা উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে ক্যাননও তাদের ইক্সি ক্যামেরা আর বাজারজাত করছে না। সম্প্রতি সনি তার সাইবারশট ও ক্যাসিও, এক্সিলিম ক্যামেরাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। এদিকে ফটোগ্রাফি করতে যারা ভালোবাসে তাদের জন্য প্যানাসনিক আনছে চমক। জার্মান লেইকা ক্যামেরার সঙ্গে উচ্চমানের মিররলেস ক্যামেরা আনবে তারা।
আরও দেখুন
অ্যান্ড্রয়েডের ব্যাটারি চার্জ দেবেন যখন